সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের ডি ব্লকের ১৭ তলা ভবনের ১৪ তলায় গ্যাসট্রো লিভার বিভাগে আগুন লাগলে আধা ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় অনেকে তড়িঘড়ি করে ভবনটির নিচে নেমে আসেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ১০ বছর বয়সী মাহমুদুল হাসানকে তার মায়ের সঙ্গে ডি ব্লকের নিচে আতঙ্কিত চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
মাহমুদুলের মা বলেন, ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা ‘কোনোমতে’ নিচে নেমে আসেন। কিডনি সমস্যা নিয়ে এই ব্লকের তৃতীয় তলায় ভর্তি আছে তার ছেলে।
কেন নেমেছেন জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সবাই নেমেছে, আগুনে পুড়ে মরবনাকি।”
মাহমুদুল আর তার মায়ের মতো ওই ভবনের অনেকেই আগুন লাগার পর নিচে নেমে আসেন বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান।
নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “১৪ তলার গ্যাসট্রো লিভার বিভাগের টয়লেটের কার্নিশ থেকে ধোঁয়া বের হয়। একজন কর্মচারী প্রথমে নিজে চেষ্টা করেছে, পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
“ধারণা করা হচ্ছে কার্নিশে দাহ্য জাতীয় কোনো পদার্থ যেমন কাগজ ছিল এবং কেউ সিগারেট খেয়ে…।
তিনি বলেন, “আগুন ছোট হোক বা বড়। আগুনের কথা শুনলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক। আজও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তবে আল্লাহর রহমত কোনো রোগীর বা কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।
হাসপাতালে ১৩৫৬ জনের মতো রোগী ভর্তি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগুন লাগলে প্রাথমিকভাবে নেভানোর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মচারী রয়েছে। ছয় মাস আগেও মহড়া হয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যে ওয়ার্ডের পাশে আগুন লাগে সে ওয়ার্ডে একশতসহ ওই ভবনে পাঁচ শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন।
“নিচে নেমে আসা রোগীদের আবার যার যার ওয়ার্ডে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে,” বলেন হাসপাতাল পরিচালক।
আগুন নেভানোর জন্য প্রথমে পানি ছিল না এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে খতিয়ে দেখব ওই সময় টেকনিক্যাল কোন সমস্যা হয়েছিল কি না।”
সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সদর দপ্তর থেকে তিনটি এবং পলাশী থেকে দুটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপনে কাজ করে।
৬টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।