রোববার থেকে এ দুভাবেই আদালত চালানো যাবে বলে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এসেছে।
শনিবার প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির কপি নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির কপি ঢাকার জেলা ও দায়রা, মহানগর দায়রা, মুখ্য বিচারিক হাকিম, মুখ্য মহানগর হাকিম বরাবরে পাঠানো হয়েছে বলে নিম্ন আদালতপাড়ায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাঁটলিপিকার বীরেন্দ্র নাথ রায়।
এতে বলা হয়েছে, “করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব অধঃস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারক দেওয়ানি ও ফৌজদারি মোকদ্দমা/মামলায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতিতে অথবা ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারি করা এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সব ধরনের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
“প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে অধঃস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে সব ধরনের মামলা দায়ের করা যাবে।“
এতে বলা হয়েছে, বিচারক শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিরা অধঃস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায়সহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা নেই।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ ভার্চুয়ালি পরিচালিত হচ্ছে।
ওইদিন সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু হয়। আর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ শুরু হয় হাইকোর্ট বিভাগে।