স্বামীর ‘দুর্নীতির উপার্জনে’ সম্পদ অর্জন, স্ত্রীর সাজা

স্বামীর ‘দুর্নীতির মাধ্যমে’ উপার্জিত অর্থে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক এক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার স্ত্রীকে চার বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আদালত  প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2022, 12:45 PM
Updated : 16 Jan 2022, 02:34 PM

রোববার দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের এ মামলায় ৯ নম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামি মোসা. নেকলেস ইসলাম পলিকে আলাদা দুটি ধারায় এ সাজা দেন।

নেকলেস ইসলামকে দুই ধারায় দেওয়া সাজা একত্রে কার্যকর হবে বলে আদালতের আদেশে বলা হয়। সেক্ষেত্রে তাকে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটককমকে জানান, রায়ের সময় পলি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজার পরোয়ানা দিয়ে পরে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

নেকলেস ইসলাম পলি রাজউকের সাবেক হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা তাহমিদুল ইসলাম মিলনের স্ত্রী।

রায়ে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় নেকলেস ইসলামকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় দেওয়া হয় আরও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

সেইসঙ্গে ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অসাধু উপায়ে অর্জিত ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

রায়ে বলা হয়, নেকলেস ইসলাম গৃহিণী, তার দৃশ্যমান আয়ের উৎস নেই। তার স্বামী তাহমিদুল ইসলাম ১৯৯১ সাল থেকে কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী ও ২০০২ সালে মামলা হওয়া পর্যন্ত রাজউকে হিসাবরক্ষক ছিলেন।

স্বামীর দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থে নেকলেস ইসলাম জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাকে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক।

পরে ২৮ অক্টোবর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৪ লাখ ১২ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ প্রদর্শন না করে সেসব গোপন করে, মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

নিজ নামে অর্জিত ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদের মধ্যে ৩৫ লাখ সাত হাজার ২৪০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখেন।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।