১৬১২২: ফোনেই মিলবে ভূমির সেবা

এখন থেকে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করেই জমির মালিক খতিয়ান ও ম্যাপের আবেদন করে খতিয়ান ও নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে দিতে পারবেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2022, 06:20 PM
Updated : 5 Jan 2022, 06:20 PM

বুধবার ‘ডাকযোগে ভূমিসেবা, ভূমিসেবায় ডিজিটাল পেমেন্ট ও কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমি সেবার’ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান হয়।

অনুষ্ঠানে দুজন নাগরিক সরাসরি ভূমি সেবা গ্রহণ করেন। একজন ১৬১২২ নম্বরে কল করে খতিয়ান এবং ইউডিসি এর মাধ্যমে অপর জন জমির মৌজা ম্যাপের আবেদন করেন।

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে সেবা পাওয়ার পাশাপাশি এখন থেকে ডাকযোগে খতিয়ান (পর্চা) বা জমির ম্যাপ নিজ ঠিকানায় নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ হয়ে গেলে আর ভূমি জরিপের প্রয়োজন হবে না। নতুন ভূমি কিংবা জেগে ওঠা চর ছাড়া পরে আর ভূমি জরিপের প্রয়োজন হবে না।

ভূমি হাত বদলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খতিয়ান ও ম্যাপ প্রস্তুত হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ফলে যুগ যুগ ধরে জরিপের হয়রানি থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে।

মন্ত্রী জানান, পটুয়াখালী ও বরগুনা দিয়ে ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে।

এ দুই জেলাতে বেছে নেওয়ার বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, এ দুই জেলায় সিএস জরিপের পর আর কোনো জরিপ হয়নি। তাই শুরুতে ডিজিটাল সার্ভের মধ্যে আনা হবে।

অনুষ্ঠানে নতুন এসব সেবা চালুর ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ কমবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ই-পর্চা, ই-রেজিস্ট্রেশন, এলডি ট্যাক্স সিস্টেম, ভার্চুয়াল শুনানিও ডিজিটাল ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

এতে মানুষের অর্থ-খরচ ও ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব পাবে বলে আশা মন্ত্রীর।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, এ কার্যক্রমের ফলে মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) চালুর মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে তাৎক্ষণিক ফি জমা দেওয়ার সুযোগ এবং ভূমি অফিসে না গিয়েই অনলাইনে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।

ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন ছাড়াও আইন ও বিধি সংশোধন হচ্ছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ভূমি সচিব জানান, ইতোমধ্যে তিন কোটি ৪০ লাখ ‘হোল্টিং এন্ট্রি’ হয়ে গিয়েছে। এক লাখ ৩৯ হাজার মৌজা ম্যাপ ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ৫ কোটি ১২ লাখ ডেটা ডিজিটাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে এন্ট্রি করা হয়েছে।