নির্ধারিত দিন সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে আসামিপক্ষ শুনানির জন্য সময় চাইলে তিনি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারি নতুন দিন রাখেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল স্বেচ্ছায় এই আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করে মামলাটি ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ আসে। সেদিনও হুদা আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
অক্টোবরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়।
‘মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এসকে সিনহা’। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে।
দেড় বছর তদন্ত করে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা অভিযোগে করা মর্মে প্রমাণিত হয় দুদকে। আর মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করে দুদক।