কুড়িগ্রামের ১৩ জন ও সাতক্ষীরার চার জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের প্রসঙ্গ ওঠে সংবাদ সম্মেলনে।
জবাবে সানাউল বলেন, “আমি মনে করি, সংগঠন হিসেবে জামায়াতের ইসলামীর বিচার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিচার শুরু করা উচিত।
“আপনারা জানেন সংগঠনের যখন বিচার হয়, তখন ওই সংগঠনের অঙ্গ সংগঠন ও জড়িত ব্যক্তিদেরও বিচার হয়। সংগঠনের নেতৃত্বের দায় চলে আসে।”
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জামায়াতে ইসলামীর বিচার ও দলটি নিষিদ্ধের জন্য বিভিন্ন দল, সংগঠন, ব্যক্তির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীরাও দাবি করেছেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্তও করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে সংগঠনের বিচার ও শাস্তির বিধান নেই। ওই বছরই অপরাধী হিসেবে সংগঠনের শাস্তির বিধান রেখে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত ওই সংশোধনীতে ট্রাইব্যুনালস আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ‘ব্যক্তি’ শব্দটির পর ‘অথবা সংগঠন’ সন্নিবেশ করা হয়। আরেকটি ধারায় ‘দায়’ শব্দটির পরিবর্তে ‘অথবা সাংগঠনিক দায়’ এবং আরেকটি ধারায় ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি’ পরিবর্তে ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংগঠন’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করার কথা বলা হয় প্রস্তাবিত সংশোধনীতে। এছাড়া সংগঠন হিসেবে দোষী প্রমাণিত হলে ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান রাখার উদ্যোগও নেওয়া হয়।
কিন্তু প্রায় আট বছর আগে আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনী আর মন্ত্রিসভায় ওঠেনি, যে কারণে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারও সম্ভব হয়নি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক বলেন, “আজকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে, ধর্মান্ধতার সুযোগ নিয়ে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
“এদের সমূলে উৎপাটন করতে গেলে, জামায়াতের স্বরূপ উদ্ঘাটন করার জন্য প্রকাশ্য আদালতে এই বিচারটি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”