মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঈশ্বরগঞ্জের ১২ আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2021, 10:53 AM
Updated : 21 Oct 2021, 11:54 AM

প্রসিকিউশনের আবেদনে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও মোখলেছুর রহমান বাদল। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলাটির তদন্তে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১২ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

“সে কারণে তদন্তের স্বার্থে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।”

গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, এখন পর্যন্ত শহিদুল্লাহ ফকিরসহ ১২ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কালীবাড়ি রোড থেকে শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকায় তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার শহীদুল্লাহ ফকির (৭২) ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কাকনহাটি গ্রামের প্রয়াত মৌলভী কমর উদ্দিন ফকিরের ছেলে। তিনি ঢাকার বনানী এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া সেসময় জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর শহীদুল্লাহ ফকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পারে তদন্ত শুরু হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, মামলার বাকি আসামিরা পালিয়ে যেতে পারে এমন শঙ্কা থাকায় এবং তদন্তের স্বার্থে বাকিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গতবছর ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম কার্যত বন্ধই ছিল। এর মধ্যে চলতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি একটি মামলার রায় হয়। পরে কিছুদিন স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চললেও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের বন্ধ হয়ে যায়।

গত ২৬ জুন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের মৃত্যু হয়। আর গত ২৪ অগাস্ট মারা যান ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আমির হোসেন। এরপর ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধই থাকে।

সরকার গত ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

এরপর ট্রাইব্যুনাল সচল হলে প্রসিকিউশনের আবেদনে বৃহস্পতিবার ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ হল। ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারক হলেন আবু আহমেদ জমাদার।  

আরও পড়ুন