‘টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে সরকার’

প্লাস্টিক দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে ‘টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ সরকার চূড়ান্ত করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2021, 05:13 PM
Updated : 17 Oct 2021, 05:13 PM

রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তুত করা ‘টুওয়ার্ড এ মাল্টি সেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন থ্রিআর (রিডিউস, রিইউজ ও রিসাইকেল) নীতি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় কার্যকর করে প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে ৩৭ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা হয়। প্লাস্টিক অ্যাকশন প্ল্যানে ২০২৫ সালের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া ২০৩০ সালে মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করা এবং  ২০২৬ সালের মধ্যে  ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিহার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

খসড়া কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে সদস্যদের সুপারিশগুলো গ্রহণ করে এটিকে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বিদেশ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করে বলেন,  বিদেশ হতে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করলে দেশের প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃ ব্যবহার, পুনঃ চক্রায়ন এবং হ্রাস নীতি কার্যকর হবে না।

এছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্ভাবিত সোনালী ব্যাগ বেসরকারি খাতের মাধ্যমে উৎপাদন করার তাগিদ দেন তিনি। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ এটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে ভূমিকা রাখবে।

সভায় পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, রাজউক, এফবিসিসিআই, প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি এবং  বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।