সাক্ষ্য শেষ, এসকে সিনহার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ২৯ অগাস্ট

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য শেষে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন রাখা হয়েছে আগামী ২৯ অগাস্ট ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2021, 12:00 PM
Updated : 24 August 2021, 12:00 PM

মঙ্গলবার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ তারিখ রাখেন।

সেদিন আসামিদেরকে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্য মূল অংশ শুনিয়ে জানতে চাওয়া হবে তারা দোষী না নিদোর্ষ।

এ মামলার আসামি বিচারপতি এসকে সিনহাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার চলছে।

মঙ্গলবার সবশেষ সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ সাক্ষ্য দেন বলে জানান দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম।

এদিন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো।

আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে রয়েছেন।

অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন। 

অন্যদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। 

গত বছর ১৩ আগস্ট একই আদালত ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবের চার কোটি টাকা জব্দ করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আরও পড়ুন: