সকাল থেকে মালিবাগ, মৌচাক, কাকরাইল, ফকিরেরপুল, বিজয়নগর, শাহজাহানপুর ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা। রিকশা ও ভ্যান চলতে দেখা গেলেও যাত্রী তেমন নেই; ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও আগের দিনের চেয়ে অনেক কম।
শান্তিনগর বাজারের কাছে মূল রাস্তার পাশে তরকারি, ফলমূল বিক্রি করতে দেখা গেল। সেখানেও ক্রেতা নেই খূব একটা।
সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা জোনাব আলী বললেন, “আজকে রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে আসলেই লকডাউন হচ্ছে। আপনি মনে করে দেখেন গতকাল ঢাকার রাস্তার অবস্থাটা কেমন ছিল। এই শান্তিনগরের মোড়ে গতকালও যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে পুলিশকে। আজ কিন্তু সেটা নেই।
তবে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কাছে দেখা গেল অ্যাম্বুলেন্সের লম্বা লাইন। সকাল ১০টায় হাসপাতালের কাছে রিকশার জটলাও দেখা গেছে।
সোহরাব উদ্দিন নামের একজন বললেন, “কয়েকদিন ধরে জ্বর আমার ছোট মেয়েটার। আজ হাসপাতালে ভর্তি করলাম।”
পল্টন মোড়, বিজয়নগর সড়কে যেসব চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, সেগুলো শুক্রবার সকালে ফাঁকা দেখা গেল। যানবাহন চলাচল কম থাকায় পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছিলেন পুলিশ বক্সে।
মিরপুরের কালশি এলাকার রাস্তাঘাটও সকালে অনেকটাই ফাঁকা ছিল। তল্লাশি চৌকিগুলোতে পুলিশের তৎপরতা ছিল শিথিল।
ষাট ফুট, মনিপুর, স্টেডিয়াম, মিরপুর ১০, মিরপুর ২, মিরপুর ১ এলাকায় রিকশাচালকদের অলস বসে থাকতে দেখা গেছে।
ওই এলাকার মিঠাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে মিষ্টি কিনে মোটর সাইকেলে আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শফিকুল ইসলাম। জানালেন, যাত্রাবাড়ী থেকে তিনি এসেছেন, পথে কয়েক জায়গায় পুলিশের তল্লাশি চৌকি থাকলেও খুব একটা দাঁড়াতে হয়নি।
“একদিকে বৃষ্টি, আরেকদিকে শুক্রবার। তাই আজকে পুলিশি তৎপরতা একটু শিথিল,” বললেন শফিকুল।
কালশী, মিরপুর ১১ ও ১২ নম্বরের প্রধান সড়ক সংলগ্ন গলিগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে মানুষের চলাচল থাকলেও অন্যদিনের মত ভিড় দেখা যায়নি। বিক্রেতারাও বললেন, ছুটির দিন হলেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টির কারণে তারা ক্রেতা কম পাচ্ছেন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে পুলিশের টহল গাড়ি দেখে তড়িঘড়ি সব দোকান বন্ধ করতে দেখা যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এ এলাকার লামিয়া বুটিক হাউজের মালিক লোকমান আফ্রাদ বললেন, “শুক্রবার কিছু কাস্টমার আসে দেখে দোকান খুলছি। এতদিন তো দোকান বন্ধ রেখে চলা যায় না। পুলিশ টহল দিলে বুঝেশুনেই চালাতে হয়।”
পুরান ঢাকার, আজিমপুর, লালবাগ, কেল্লারমোড়, বকশিবাজার, ও পলাশীর অলিগলিতে মানুষ, ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও সাত মসজিদ রোড এলাকাতেও মানুষের আানাগোণা ছিলো চোখে পড়ার মত।