বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) রফিকুল ইসলাম খানকে চার সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (অর্থ) শাহিনুর ভূইয়া এবং বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন) মো. শাহজাহান।
কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
কমিটিকে দুর্ঘটনার বিষয়টি সরেজমিন অনুসন্ধান করে ১০ দিনের মধ্যে নৌপরিবহন সচিবের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ফেরি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা; ফেরি নিরাপত্তা সংক্রান্ত পর্যালোচনা (ভেসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম-ভিটিএস এবং রেডিও সিস্টেমের কার্যকারিতা পরীক্ষাসহ); ফেরি পরিচালনার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ণের জন্য বলা হয়েছে কমিটিকে ।
ফেরি মেরামত, ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও ব্যয়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা (অধিক পুরাতনব্যবহার অনুপযোগী ফেরিসমূহ স্ক্র্যাপ করা যায় কি-না সে বিষয়ে মতামত প্রদানসহ); ফেরির মাস্টার ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া পরীক্ষা করা; নিরাপদ ফেরি পরিচালনার জন্য দিক-নির্দেশনামূলক প্রতিবেদনও প্রণয়ন করবে তদন্ত কমিটি।
গত ২৩ জুলাই সকালে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে রো রো ফেরি শাহজালালের ধাক্কা লাগে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিয়ারের সঙ্গে।
ওই দিনই ঘটনা তদন্তে বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক আশিকুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই তদন্ত কমিটি বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলামের কাছে গত ২৫ জুলাই প্রতিবেদন দিয়েছে এবং এ ঘটনা ফেরি শাহজালালের মাস্টার ও সুকানীর 'অসতর্কতায়' হয়েছে বলে এতে জানানো হয়েছে।