বুধবার ঈদের দিন সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তারা চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে কাউকে ভর্তি হতে হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালের আশপাশের এলাকা এবং যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, রামপুরা থেকে আহতরা চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
“গরুর দেহ থেকে চামড়া ছাড়ানোর সময়ই বেশিরভাগের হাতের তালু, আঙ্গুল বা কনুইয়ের নিচের অংশ কেটেছে। কারো কারো পায়ের নিচের অংশেও কেটেছে। কেউ কেউ গরুর লাথি বা শিংয়ের গুঁতোয় আঘাত পেয়ে এসেছেন।”
নারায়ণগঞ্জ থেকেও অনেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন বলে জানান এএসআই আব্দুল খান।
দেশে সারা বছর যত পশু জবাই হয়, তার অর্ধেকই হয় এই কোরবানির ঈদের দিনে। যারা কোরবানি দিচ্ছেন, তাদের পরিবারের অনেকেই এদিন মাংস বানানোর কাজে হাত লাগান। আর এ কাজে দক্ষতা না থাকার কারণে অনেকেরই ছোটোখাটো জখম হয়।
গত বছর প্রায় ৮০ জন চিকিৎসা নিয়েছিল জানিয়ে এএসআই আব্দুল খান বলেন, “এবার ঈদের দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫০ জনের কিছু বেশি চিকিৎসা নিয়েছেন।”