আর একহাজার টাকার ১০০ জাল নোটের বান্ডেল তারা পাইকারিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত বলে পুলিশের ভাষ্য।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বাড্ডার নুরের চালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ।
গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন,
এই কারখানাটি থেকে প্রায় ৪৩ লাখ টাকার জাল নোট ও এসব নোট তৈরির প্রচুর পরিমাণ উপকরণ মিলেছে।
“ঘরোয়া ওই কারখাটির মালিক রহিম ও ফাতেমা মাসে কোটি কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করত। ফাতিমা ২০১৯ সালে হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় জাল নোট তৈরির সময় অপর সহযোগীসহ হাতেনাতে ধরা পড়লেও তার স্বামী রহিম পালিয়ে গিয়েছিল।”
এরা সবাই জাল নোট তৈরি ও মাদককের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল বলে মশিউর জানান।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট ‘খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করার’ পাশাপাশি গত তিন বছর ধরে ঈদসহ অন্যান্য উৎসবের আগে আগে জাল নোট তৈরি করে বাজারে ছাড়ার কথা তারা ‘প্রাথমিকভাবে স্বীকার’ করেছে।
“হেলাল খান একসময় গার্মেন্টস পণ্যের ব্যবসা করলেও ইয়াবার নেশা ও কারবার করে লোকসানের শিকার হন। এখন কক্সবাজার-টেকনাফ থেকে ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি জাল টাকা তৈরিতে যুক্ত।”
ডিসি মশিউর বলেন, “একহাজার টাকার ১০০ জাল নোট তৈরিতে সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ হয়। তাই এরা একহাজার টাকার ১০০টির বান্ডেল পাইকারিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলে জানিয়েছে।”
তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।