রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি জানি, ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ছুটছে। কিন্তু এই যে আপনারা একসাথে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরিতে হোক, গাড়িতে হোক, যেখানে হোক- কার যে করোনাভাইরাস আছে আপনি জানেন না। কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার পরিবারের কাছে।
“মা, বাবা, দাদা, দাদি, ভাই, বোন- যেই থাকুক, আপনি কিন্তু তাকেও সংক্রমিত করবেন। তার জীবনটাও মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দেবেন।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এপ্রিল থেকে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি রেখেছে সরকার। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ঈদে প্রিয়জনের কাছে ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মানুষ শহর থেকে গ্রামে ছুটছে নানাভাবে।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন ছোট যানবাহন, এমনকি পণ্যের ট্রাক বা পিকআপে চড়ে ভেঙে ভেঙে মানুষ ছুটছে উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায়। গাদাগাদি করে তাদের পদ্মা পার হওয়া ঠেকাতে দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ রেখে এবং বিজিবি মোতায়েন করেও কাজ হচ্ছে না।
দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন, নিজের ভালো চিন্তা করেন। সাথে সাথে যার যার পরিবারের ভালোর চিন্তা করেন।”
মহামারীতে সারাবিশ্বেই যে মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে। এবং এই প্রতিবেশী দেশে যখন হয়, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশে আসারও একটা সম্ভবনা থাকে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের নিজেদেরকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। নিজেদেরকে সেভাবে চলতে হবে যেন সবাই করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারি।”
সবাইকে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাসের সময়ে আপনারা একটু মাস্ক পরে থাকবেন। সাবধানে থাকবেন। কারণ আবার নতুন আরেকটা ভাইরাস (করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট) এসেছে, এটা আরো বেশি ক্ষতিকারক। যাকে ধরে, সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়। সেই জন্য আপনি নিজে সুরক্ষিত থাকেন, অপরকে সুরক্ষা দেন।”
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৮৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।