মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে গিয়ে এ আগ্রহের কথা জানান চীনের মন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়াল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাক্ষাতেরসময় রাষ্ট্রপতি করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশ চীনের সাথে এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সম্পর্কে গবেষণা ও উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগ নিতেও আগ্রহী বাংলাদেশ।”
একদিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় আসেন জেনারেল ওয়েই ফিংহে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও চীন কাজ করে যাচ্ছে।”
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “চীন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভিডিও বার্তার জন্য রাষ্ট্রপতি তার ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “মিয়ানমারের সাথে চীনের সম্পর্ক খুবই ভালো। এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
আবদুল হামিদ আশা করেন, চীন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি চায়না কমিউনিস্ট পার্টির ১০০ বছর পূর্তিতে দেশটির রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনোরেল ওয়াকার উজ জামান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।