নকল টেস্ট কিট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতরা কারাগারে

অনুমোদনবিহীন মেডিকেল ডিভাইস আমদানি, নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্ট কিট ও রি-এজেন্ট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2021, 11:29 AM
Updated : 21 April 2021, 11:29 AM

বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই দেবাশীষ মোদক তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

গত ১৭ এপ্রিল আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ হয়েছিল।

আসামিরা হলেন, বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. শামীম মোল্লা, ম্যানেজার মো. শহীদুল আলম ও মো. মাহমুদুল হাসান, এক্সন টেকনলজিস অ্যান্ড সার্ভিসেসের এমডি এসএম মোস্তফা কামাল, হাইটেক হেলথকেয়ারের এমডি আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির, বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান, অফিস সহকারী মো. সুমন, হিসাবরক্ষক জাহিদুল আমিন পুলক, অফিস ক্লার্ক ও মার্কেটিং অফিসার মো. সোহেল রানা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও বনানীতে ১৫ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে ওইদিন র‌্যাব-২ এর একটি দল মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়ায় বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল, বনানী এলাকায় এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস ও হাইটেক হেলথকেয়ারের ওয়্যারহাউজে অভিযান চালায়।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিশেষ ধরনের প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে নতুন লেবলে ছাপিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া বিভিন্ন টেস্ট কিট ও রি-এজেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর কাজ চলছে।

এছাড়া ওয়্যারহাউজে মজুদ করা বেশিরভাগ মেডিক্যাল ডিভাইস অনুমোদনহীন এবং প্রায় সব ধরনের টেস্ট কিট ও রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ।