দুদকের মামলায় ৬ মাস জামিন চাইতে পারবে না সেই তুফান

‘ধর্ষণ-নির্যাতনের’ পর মা-মেয়ের মাথা মুণ্ডনের ঘটনায় আলোচিত বগুড়ার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার দুদকের মামলায় আগামী ছয় মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2021, 09:49 AM
Updated : 1 April 2021, 09:55 AM

এই মামলায় তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দিয়েছে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ। 

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন। আর তুফানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ আলম সরকার।

জামিন প্রশ্নে রুল জারি থাকা অবস্থায় ফের জামিন আবেদন করায় উচ্চ আদালত এই আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর তিনি বলেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে এ মামলায় তুফান সরকার হাই কোর্টের এই বেঞ্চে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। সে রুলটি বিচারাধীন থাকার পরও সেই তথ্য গোপন করে সম্প্রতি আবার তিনি জামিন আবেদন কেরেন।

“বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে তুফান সরকারের আগের আবেদনে জারি করা রুলটি খারিজ করে দিয়েছে। এই মামলায় আগামী ৬ মাস তিনি আর কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না।”

তুফান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

মামলায় বলা হয়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা অর্জন করেছেন তুফান, যা তার আয়কর রিটার্নে তিনি দেখিয়েছেন। বাস্তবে তার আয়ের কোনো বৈধ উৎস ‘ছিল না’।

এ মামলায় বগুড়ার আদালতে জামিন চাইলে গত বছর ১৯ জানুয়ারি আদালত তা খারিজ করে দেয়। পরে সে আদেশের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারিতে হাই কোর্টে আবেদন করেন তুফান। পরে তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট রুল জারি করে।

রুল বিচারাধীন থাকার তথ্য গোপন করে গত ৯ মার্চ একই বেঞ্চে ফের জামিন আবেদন করেন তুফান।

দুদকের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন তথ্য গোপনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর এ আদেশ দিল হাই কোর্ট।

ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের মামলায় ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই থেকে কারাগারে আছেন বগুড়ায় শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কৃত তুফান সরকার।

ধর্ষণের ওই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ জনকে এবং মস্তক মুণ্ডনের মামলায় দণ্ডবিধিতে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। দুই মামলাতেই তুফান প্রধান আসামি।