রোববার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক একেএম ফজলুল হক জামিন বাতিলের আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নরেশ চন্দ্র মুখার্জি।
এ সময় তুফান সরকারের সহযোগী আতিকুর রহমানেরও জামিন বাতিল করে আদালত।
২০১৭ সালে এক ছাত্রীকে ডেকে এনে ‘ধর্ষণ’এবং পরে মাসহ সেই মেয়ের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করার ঘটনায় দুই মামলায় আসামি এই তুফান সরকার।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নরেশ চন্দ্র মুখার্জি বলেন, রোববার আদালতে তুফান সরকারের জামিন আবেদন নিয়ে শুনানি ছিল। দুদকের একটি মামলায় তিনি কারাগারেও রয়েছেন।
“তার আইনজীবী শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন। আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।”
নরেশ মুখার্জি জানান, এ ছাড়া তুফানের সহযোগী আতিকুর রহমান আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার জামিনও বাতিল করা হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি এই আদালত তুফান সরকারের জামিন মঞ্জুরের ৫০ দিনের মাথায় জামিন নাকচ করা হল।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই বাসায় ডেকে এনে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার আসামি তুফান সরকার।
ওই ঘটনার জেরে ২৮ জুলাই তুফানের স্ত্রী তাছমিন রহমান এবং তার বড় বোন ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান মেয়েটি এবং তার মাকে বাড়িতে নিয়ে নির্যাতনের পর মা-মেয়ের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেন অভিযোগেও মামলা হয়েছে।
ওই বছরের ২৯ জুলাই মেয়েটির মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় তুফান সরকারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
এছাড়া নির্যাতন ও মাথার চুল ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তুফান সরকারসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আলাদা ধারায় আরেকটি মামলা করা হয়।
মা-মেয়েকে নির্যাতন এবং চুল কেটে দেওয়ার সেই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচার কার্যক্রম চলছে। সেই মামলায় তুফান সরকার জামিনে রয়েছেন।