মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তা ৭৫ হাজার টাকা করার সুপারিশ

সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার আওতা বাড়াতে বলেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি এই মূল্য ৭৫ হাজার টাকা করতে বলেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2021, 09:11 AM
Updated : 23 Feb 2021, 09:11 AM

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হয়। আমরা এটা ৭৫ হাজার টাকা করতে বলেছি।

“ওষুধ কিনতে খুব বেশি টাকা লাগে না। চিকিৎসার মূল ব্যয় হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষায়। সেজন্য আমরা এই টাকার পরিমাণ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।”

এই চিকিৎসা সেবা দিতে ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। চুক্তি অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। 

এদিকে কমিটির বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।

কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “আইন প্রণয়নের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। আইনটা হয়ে গেলে হাতে পাওয়া তালিকা আমরা প্রকাশ করব। কমিটি এটা নিয়ে কাজ অব্যাহত রেখেছে।”

কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, “আমরা যাদের নাম পাচ্ছি তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখান থেকে ভেরিফাই হয়ে আসছে। তারপর তালিকা করা হচ্ছে। আইনটা হয়ে গেলে তালিকা প্রকাশ করা হবে।”

গত বছরের ৯ অগাস্ট রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে ছয় সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।  গত বছর বিজয় দিবসের আগে আংশিক তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের নতুন খসড়া প্রণয়ন হলে সংসদীয় উপ-কমিটি তালিকা প্রকাশ করেনি। আইন সংসদে পাস হলে তারা রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানায়।

সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৫০৪ জন রাজাকারের তালিকা হাতে পেয়েছে সংসদীয় কমিটি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী উপজেলা-জেলা থেকে এসব তালিকা পেয়েছে।

এদিকে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বরাত দিয়ে শাজাহান খান জানান, আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয় প্রস্তুত আছে।

“বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৬ মার্চের আগে তালিকা দিতে তাদের প্রস্তুতি আছে।”

বৈঠকে জেলা ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে শিগগিরই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সুপারিশ করা হয়। পরবর্তী প্রজন্মকে অবহিত করতে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও পাঠাগার স্থাপনের পরামর্শও দেওয়া হয়।

শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ অংশ নেন।