শুক্রবার এই দ্বীপের সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পর ওশান কনজারভেন্সির বাংলাদেশের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মুনতাসির মামুন এ আহ্বান জানান।
পরিচ্ছন্নতার এই আয়োজনে প্রায় সাড়ে পাঁচশ স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন। যাদের মধ্যে ঢাকা থেকে যাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। এছাড়া কক্সবাজারের প্রায় ২০ জন সার্ফার এতে অংশ নেন। স্থানীয়দের বড় সংখ্যাটি আসে সেন্ট মার্টিন বিএন ইসলামিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের তরফে। অংশ নেয় এখানকার চার শতাধিক শিক্ষার্থী।
ওশান কনজারভেন্সির উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে ৩৫তম ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিন আপের অংশ হিসেবে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়। সেন্ট মার্টিনে এটি দশম আয়োজন। এই আয়োজনের সহযোগী কোকা- কোলা।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যরা এই আয়োজনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
“আপনি যদি এভাবে চিন্তা করেন, এক সময় এখানে একটা জাহাজ আসত। এখন আসে ৮টা। একটা জাহাজে কম করে হলেও যদি ৫০০ জন করে আসেন, তাহলেও এখন চার হাজার মানুষ আসে।
“আমরা এখানে কিছু জিনিস খাই, কিছু জিনিস কিনি। এই যে মোড়কগুলো এটা আমরা এখানে ফেলে যাই। এই ছোট জায়গার এই পরিমাণ মানুষের আবর্জনা ধারণ করার ক্ষমতা আসলেও নাই।”
সেন্ট মার্টিনের বালিকা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়াও এসেছেন সৈকত পরিচ্ছন্ন করার এই অভিযানে।
প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “মানুষকে এখানে জায়গায় জায়গায় ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে না ফেলে এখানে কেন ফেলায়? এটা আসলে আমার ভালো লাগে না।
“তাদের উচিত, জায়গামতো ডাস্টবিনে ফেলবে। অথবা নিজেদের কাছে একটা পলিথিন নিয়ে জমা করে সামনে কোনো ডাস্টবিন পেলে সেখানে ফেলে দেবে।”
ময়লা সংগ্রহের অভিযানে অংশ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক নাবিল চৌধুরী বলেন, “আমরা যেটা দেখতে পারি যে, এখানে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস বেশি ফেলা হয়। তোলার সময় আমরা সবচেয়ে বেশি সিগারেটের বাট দেখেছি।”
পরে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে বলেন, “প্রতি মাসে আমরা একবার করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান করি। কিন্তু পর্যটক বেশি হওয়ার কারণে আমরা হিমশিম খাই। পরিচ্ছন্ন করতে পারি না।
“এখানে একটু হাঁটলেই ডাস্টবিন আছে, কিন্তু মানুষ এলোমেলোভাবে ময়লা ফেলে যায়। ডাস্টবিনে ফেলে না।”
তিনি বলেন, “দৈনিক ৫-৬ হাজার মানুষ আসে। বলতে গেলে তাদের ৮০ ভাগই অসচেতন। তাদেরকে কীভাবে সচেতন করা যায়-সেটা আমাদেরকে ভাবতে হবে।”