আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা: সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড

সাত বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে হত্যা করে লাশ পোড়ানোর মামলায় সাত আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2020, 07:40 AM
Updated : 2 Dec 2020, 12:13 PM

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বুধবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া সাত আসামি হলেন- মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুণ্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, তাজুল ইসলাম তানু, মো. আসিফ ও গুলজার হোসেন ।

তাদের মধ্যে কারাগারে থাকা জাহাঙ্গীর ও ইমনকে রায়ের সময় আদালতে হাজির করা হয়। বাকিরা সবাই পলাতক রয়েছেন ।

এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামির মধ্যে শম্পা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “মামলার ভিকটিম বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী এলাকার একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।… তিনি তার কর্মকাণ্ডে সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছিলেন।

“এলাকায় তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামি গুলজার হোসেন মেম্বারসহ অন্যরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেন। পরে তার লাশ পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এজন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করে আদালত।”

আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আতিক উল্লাহ চৌধুরী

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহ চৌধুরী। পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার পর মৃতদেহের পরিচয় গোপন করার জন্য লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে লাশ শনাক্ত করেন তার ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।

তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যে হত্যা মামলা দায়ের করেন, তার তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচার শুরু করে। দীর্ঘ পাঁচ বছর শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।