স্বাধীনতার ধারণাকে বোধগম্য করে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু: মুহিত

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারণাকে এদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে বোধগম্য ও জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। আর এভাবেই তিনি জাতি গঠন ও জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2020, 02:53 PM
Updated : 1 Dec 2020, 02:53 PM

মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের প্রথম দিনের মূল প্রবন্ধে একথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ লেকচার সিরিজের উদ্যোগ নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল সংকল্প, সাহস, উদারতা এবং দরিদ্রদের প্রতি সমবেদনা। বঙ্গবন্ধু দৃঢভাবে বিশ্বাস করতেন, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার জন্য উর্বর ভূমি ও বিশাল জনগোষ্ঠীসহ সব কিছুই তার রয়েছে।

“দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনকল্যাণের নীতি অনুসরণ করেন জাতির পিতা। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছিল। বিখ্যাত নেতা সোহরাওয়ার্দীর সাথে তার আজীবন সম্পর্ক ছিল ছাত্র-শিক্ষকের।”

তিনি বলেন, জাতির পিতা মাত্র তিন বছর সাত মাসের শাসনকালে সংবিধান সংশোধনসহ ৫১৯টি আইন পাশ বা সংশোধন করেছিলেন যাতে জনগণের সব বিষয় অর্ন্তভুক্ত ছিল। তিনি ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন পাশ করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। জনগণের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বঞ্চনা ও বৈষম্য দূরীকরণে তিনি তার সমগ্র জীবন ব্যয় করেছেন। জনগণের ক্ষমতায়নে সারা জীবন কাজ করে গেছেন।”

বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে গবেষণার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ৬৮টি বৈদেশিক মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ প্রবাসীদের অংশগ্রহণে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে আমরা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে চাই।”

মোমেন বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজন করতে চায়। বঙ্গবন্ধু সব সময় বিশ্বাস করতেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি প্রয়োজন। অসহিষ্ণুতার জন্য বিশ্বে সংঘাত, যুদ্ধ ও সন্ত্রাস বাড়ছে।

“ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতার জন্য রোহিঙ্গাদের পৈত্রিক ভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আমাদেরকে সহিষ্ণুতার মনোভাব এবং ধর্ম-বর্ণ-নৃতাত্ত্বিক অবস্থা নির্বিশেষে সবার প্রতি সম্মানের মানসিকতা নিজেদের মধ্যে বদ্ধমূল করতে হবে।”

এ সময় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বক্তব্য দেন।