হাজী সেলিমের পুরনো মামলার নথি তলব হাই কোর্টের

ছেলের কাণ্ডে বিপাকে পড়া সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের এক যুগ আগের একটি মামলার নথি তলব করেছে হাই কোর্ট। দুদকের ওই মামলায় বিচারিক আদালতে তার ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়েছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2020, 07:10 AM
Updated : 11 Nov 2020, 07:16 AM

আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ কে ওই মামলার এলসিআর উচ্চ আদালতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাজী সেলিমের আপিল দ্রুত শুনানি করতে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি আবেদন করেছিল।

সেই আবেদনে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে নিম্ন আদালতের রেকর্ড আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। নথি আসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

হাজী সেলিমের আইনজীবী রাজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাজী সেলিমের আপিল গ্রহণ করে হাই কোর্ট তাকে খালাস দেয়। পরে ওই বছরের ৩ আগস্ট এই মামলার রেকর্ড নিম্ন আদালতে চলে যায়। এরপর আর এই রেকর্ড আর আসে নাই।

“আজকে হাই কোর্ট নিম্ন আদালতকে বলছে, রেকর্ডটা পাঠাতে অথবা এ সম্পর্কিত রিপোর্ট দিতে। এখন রেকর্ড আসলে পেপারবুক তৈরি হওয়ার পর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে।”

গত রোববার দুদক এ মামলাটি পরিচালনার জন্য খুরশীদ আলম খানকে নিয়োগ দেয়।

এরপর গত সোমবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের আপিল কার্যতালিকাভূক্ত করতে আবেদন করে দুদক।

মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে আবার সেটি উপস্থাপন করলে হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের নথি তলব করে।

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম গ্রেপ্তার এবং পুরান ঢাকায় ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্যের বাড়িতে র‌্যাবের অভিযান নিয়ে আলোচনার মধ্যে দুদক মামলাটি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নিল।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে বিচারিক আদালত ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় তাকে।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাই কোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়।

হাই কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাই কোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাই কোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সে নির্দেশনার আলোকেই সোমবার দুদক হাজি সেলিমের আপিল দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করে।