শনিবার একটি ভার্চুয়াল আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি বলেন, “বিভিন্ন রকমের সংকটের মধ্যেও গত পাঁচ বছরে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। এমন সম্পদ ও সক্ষমতার উপর বাংলাদেশের এই অগ্রগতি নিহিত, যা প্রমাণ করছে বিরূপ পরিস্থিতিতেও আমরা সুযোগের ব্যবহার, অভিযোজন ও অগ্রগতি লাভ করতে পারব।”
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ রিসার্চ ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ওই সেমিনার আয়োজন করে।
বাংলাদেশের উন্নয়য়ন নীতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “উন্নয়নের পথে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখার পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে পারস্পরিক লাভজনক উন্নয়ন কৌশলে সম্পৃক্ত হতে চাই। যে ক্ষেত্রে প্রত্যকের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত দৃষ্টিভঙ্গিকে শ্রদ্ধা করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন পরিক্রমায় বহুপক্ষের সংযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সংযুক্ত করা হয়েছে। যাতে তারা এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ ও তা মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারেন।
বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৮৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। উন্নয়নের অগ্রাধিকারে সবার অন্তর্ভুক্তির নীতি নেওয়া হয়েছে।
“১৯৭০ এর দশকে বাংলাদেশে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৭৮ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে তা ২০ শতাংশের মতো।“
সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষক মহসীন হাবিবের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক আতিউর রহমান, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক ডায়ান বল্টন, নরওয়ের নর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির এবং আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বক্তব্য দেন।