ধর্মীয় অনুভূতিতে ‘আঘাত’: জগন্নাথ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সংগঠনের দাবির মুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2020, 06:02 PM
Updated : 26 Oct 2020, 06:02 PM

ঘটনা তদন্ত করে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে শনিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছিল একদল শিক্ষার্থী।

যেখানে ইসলামিক শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, আহলে হাদিসের মতো ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিল ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের কর্মীরাও।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওই ছাত্রীর মোবাইলে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টও সচল পাওয়া যায়নি।

তবে পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, ফেইসবুক আইডি ‘হ্যাক’ হয়েছে জানিয়ে ক্ষতির শংকা প্রকাশ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ওই শিক্ষার্থী।

এই ঘটনায় বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক সোসাইটির নেতা আল ইমরান বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, ওই ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেবেন তারা।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর এই শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা প্রক্টর মোস্তফা কামালও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন।

তবে দুর্গাপূজার ছুটির মধ্যেই সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বহিষ্কারাদেশে জানানো হয়, “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১১(১০) ধারা অনুযায়ী উপাচার্যের ক্ষমতাবলে সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা লিখিতভাবে ১০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জানাতে বলা হয়েছে ওই ছাত্রীকে।

আরেকটি অফিস আদেশে ঘটনা তদন্তে ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক এ কে এম মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল অদুদ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু লায়েক। ডেপুটি রেজিস্ট্রার আল হেলাল উদ্দিনকে কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ওই ছাত্রীকে এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদকের পদ থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।