রোববার ঢাকায় ভারতের নতুন হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তাকে এই অনুরোধ জানান তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল এই মাসে বিশেষ ব্যবস্থায় চালু হতে চললেও সড়ক ও রেলপথ এখনও খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, “এয়ার বাবলের ক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হলো ল্যান্ড এবং ট্রেন করা দরকার।
“কারণ আমাদের অধিকাংশ লোক গাড়িতে যায়। ধনী লোক যাবে প্লেনে। আমরা সাধারণের দেশ, আমরা রোডটা চালু করলে বেশি খুশি হব।”
ভারতকে প্রস্তাব দেওয়ার জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা দিয়েছি সবসময়। কবে হবে, এখনও বলে নাই। কারণ তারা খুব শঙ্কিত এই কোভিড নিয়ে। এত লোকজন মারা যাচ্ছে সেখানে।”
মহামারীর কারণে প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর ভারতের সঙ্গে ২৮ অক্টোবর থেকে ‘এয়ার বাবল’ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ শুরু হচ্ছে।
এয়ার বাবল বিষয়ক চুক্তি করতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভারতে যাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাসিনা-মোদী বৈঠক ডিসেম্বরে
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও ভারতের পক্ষ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
“ডিসেম্বরের ১৬ ও ১৭ তারিখ বৈঠক হতে পারে। ভারতের পক্ষ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছে। আমাদের ওই দিন অনেক ব্যস্ততা থাকে। এখন দুইপক্ষ আলোচনা করে আমরা চূড়ান্ত করব।”
২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান মোমেন।
তিনি বলেন, “আমরা একসঙ্গে দিনটি উদযাপন করতে চাই। ভারত নীতিগতভাবে এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।”