ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় বিবিসি বাংলার সাংবাদিকের সাক্ষ্য

কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় বিবিসি বাংলার সাংবাদিক পারমিতা পাল সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2020, 07:37 PM
Updated : 24 Sept 2020, 07:38 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন।

এই মামলার আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি সাক্ষীকে জেরা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বলেন, বিবিসি ওয়ার্ল্ডের বাংলা বিভাগের ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট পারমিতা পাল সাক্ষ্য দিয়েছেন। ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর পারমিতা পালকে ফোন দেন। তিনি পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিমানবন্দর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান এবং পরবর্তী দুই-তিন দিন তার পাশে ছিলেন।

এই বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশের ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এসময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী।

জ্ঞান ফেরার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। পরে তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে।

ওই তরুণীর কাছে বর্ণনা শুনে ৮ জানুয়ারি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মজনুকে। ১৬ জানুয়া‌রি তিনি আদালতে স্বীকারো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেন।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মজনু (৩০) জীবিকার তাগিদে বছর দশেক আগে ঢাকায় আসেন। তিনি ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডি‌বির প‌রিদর্শক আবু বকর সি‌দ্দিক আদালতে অভি‌যোগপত্র দা‌খিল ক‌রেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। রাষ্ট্রপ‌ক্ষে সাক্ষী করা হয় ১৬ জনকে। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয় আদালতে।

গত ২৬ আগস্ট ভার্চুয়ালি শুনানিতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।

গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদীর (ছাত্রীর বাবা) সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হয়। পরদিন ধর্ষিত তরুণী ধর্ষক হিসেবে একমাত্র আসামি মো. মজনুকে শনাক্ত করেন।