ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম মঙ্গলবার মামলার রেকর্ডিং অফিসার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখার অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মৃনাল মজুমদার ও একই শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার রেজাউল হাসানের সাক্ষ্য নেন।
পরে আসামিপক্ষ থেকে তাদের জেরা করেন আইনজীবী শাহীনূল ইসলাম অনি এবং অন্য আইনজীবীরা।
পরে বিচারক আগামী ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
এ নিয়ে মামলায় মোট চারজন সাক্ষ্য দিলেন। এর আগে গত ১৮ অগাস্ট মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সাক্ষ্য দেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে।
অন্য আসামিদের মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন।
কানাডায় থাকা বিচারপতি সিনহা ছাড়াও ব্যাংকটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন।
গত ১৩ অগাস্ট একই আদালতে ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা তদন্ত করে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দেন দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ।
এরপর গত ৫ জানুয়ারি দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।