বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বুধবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিহত তিনজনই লেবাননে বসবাস করে আসছিলেন।
“আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন হাসপাতালে আছেন ৮-১০ জনের মত।”
আহতদের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ জন সদস্য রয়েছেন, যারা সেখানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিয়োজিত ছিলেন।
তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ জানিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “নৌবাহিনীর সাতজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন, বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।”
মঙ্গলবার বিকালে বৈরুত বন্দরের একটি বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পুরো লেবানন ও আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু বাড়িঘর।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে (ইউনিফিল) মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে লেবাননে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস ‘বিজয়’ তখন বৈরুত বন্দরেই নোঙর করা ছিল। বিস্ফোরণের ধাক্কায় জাহাজেরও ক্ষতি হয়েছে।
উদ্ধারকাজ এখনও চলছে, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ২০১৩ সালে একটি জাহাজ থেকে জব্দ করা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বন্দরের একটি ওয়্যারহাউজে মজুদ করে রাখা হয়েছিল। কোনোভাবে সেখানে আগুন লাগার পর ভয়ঙ্কর ওই বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয় সময় ৬টার পরপর ওই বিস্ফোরণে বৈরুত ছাড়াও আশপাশের অনেক শহর কেঁপে ওঠে। কম্পন অনুভূত হয় ২৪০ কিলোমিটার দূরের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসেও, সেখানকার বাসিন্দারা এ ঘটনাকে ভূমিকম্প বলে মনে করেছিলেন।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতের বন্দর এলাকা থেকে বড়ু গম্বুজ আকারে ধোঁয়া উড়ছে, এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট বিস্ফোরণে গাড়ি, ভবন উড়ে যেতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের ধাক্কায় বাড়িঘরের জানালার কাচ ও বেলকনি ভেঙেও অনেকে আহত হন।
বৈরুত বন্দরের যেখানে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই বাংলাদেশ দূতাবাসের অবস্থান।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ভূমিকম্প হলে যেমন ঝাঁকুনি হয়, তেমনটা অনুভূত হয়েছিল আমাদের এখানে। তবে দূতাবাস ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি।”
আরও পড়ুন