শনিবার রাতে এই ঘটনার পর পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল বোমাটি উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটায়। শুক্রবার পল্টন মোড়ে একটি বোমা বিস্ফোরণের পরদিন প্রায় একই সময় এই ঘটনা ঘটল।
ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের পাশে কর্তব্যরত সার্জেন্ট তার মটরসাইকেলটি রেখে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে মটরসাইকেলের কাছে এসে দেখেন একটি পলিথিন ব্যাগ তার মটরসাইকেলে ঝুলছে।
ব্যাগটি তার নয় নিশ্চিত হওয়ার পর ভেতরে তাকিয়ে দেখেন ‘গ্রেনেড সদৃশ’ একটি বস্তু। পরে তিনি দ্রুত ট্রাফিক পুলিশ বক্সে গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ঢাকা মহানগর পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল এসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে ফেলে।
পল্টন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হীরন্ময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আধা লিটারের পানির বোতল কেটে নিচের অংশে কিছু রাসায়নিক দিয়ে একটি ছোট ‘ককটেল’ বানিয়ে কে বা কারা ট্রাফিক পুলিশের মোটরসাইকেলে রেখে যায়।
শুক্রবার প্রায় একই সময় পল্টন মোড়ে কে বা কারা একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই বিস্ফোরণে কেউ আহত হয়নি। আর শনিবারের বোমাটি বিস্ফোরিত হয়নি। হলে কারও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত।
দুটি ঘটনারই তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।