বছরে মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হয় ‘৭০০টি’

পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হিসাবে চিহ্নিত প্লাস্টিক ব্যাগের যথেচ্ছ ব্যবহারের চিত্র ‍উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2020, 03:56 PM
Updated : 3 July 2020, 03:56 PM

শুক্রবার আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ব্যাগ মুক্ত দিবসের এক আলোচনা সভায় ওই সব গবেষণার বরাতে জানানো হয়, “বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হয়। যে সংখ্যা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ৬০ হাজার। প্রতি একজন ব্যক্তির জন্য বছরে ৭০০টির বেশি ব্যাগ ব্যবহার হয়।”

বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞার আইন অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানিয়ে শুক্রবার উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ব্যাগ মুক্ত দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত ওয়েবিনারে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংস্থার কর্মকর্তা নাজমা আহমেদ।

তিনি বলেন, আর্থ পলিসি ইনস্টিটিউটের হিসাবে বিশ্বজুড়ে প্রতি মিনিটে প্রায় ২ মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। এগুলোর অধিকাংশ ফেলে দেওয়া হয় এবং রিসাইকেল করা হয় ১ শতাংশেরও কম।

“প্লাস্টিক ব্যাগ গড়ে ১২ মিনিটের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর দ্বারা বার্ষিক ১০ হাজার সামুদ্রিক প্রাণী মারা যায়। প্রায় ১ মিলিয়ন সামুদ্রিক পাখিও প্লাস্টিক দূষণ কারণে মারা যায়।”

বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর উৎপাদিত প্লাস্টিকের ১০ শতাংশ সমুদ্রে এসে জমা হয় জানিয়ে নাজমা আহমেদ বলেন, “যার ৭০% সমুদ্রের তলদেশে চলে যায়, যেখানে এটি সম্ভবত কখনই হ্রাস পাবে না।”

ওই সেমিনারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০ জন যুব প্রতিনিধি অংশ নেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশ, নেপাল, কেনিয়া ও বেলজিয়ামের।

সেমিনারের মাধ্যমে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করার এবং বিশ্বব্যাপী একবার ব্যবহার উপোযোগী প্লাস্টিক বর্জনের প্রচেষ্টার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন তারা।

এসডো মহাসচিব ডা. শাহরিয়ার হোসেন সেমিনারে বলেন, “কোটি কোটি প্লাস্টিক ব্যাগ প্রতি বছর আবর্জনা হিসাবে সমুদ্রে জমা হয় এবং এই ব্যাগগুলো পলিপ্রোপিলিন দিয়ে তৈরি করা হয়। পলিপ্রোপিলিন এমন একটি উপাদান যা পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস দ্বারা তৈরি হয়।

“এই উভয় পদার্থ জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিকি এবং নিষ্কাশন ও উৎ্পাদনের সময় এগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ঘটায়, যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে এবং পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ক্ষতিকারক।”