শিখরের মামলায় জামিন হয়নি ফটো সাংবাদিক কাজলের

ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে ঢাকার একটি আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2020, 12:59 PM
Updated : 19 Oct 2020, 08:35 AM

ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল মঙ্গলবার এই আদেশ দিলেও বুধবার তা জানাজানি হয়।

গত মার্চের প্রথম দিকে এই মামলা হওয়ার পর প্রায় দুই মাস নিখোঁজ ছিলেন শফিকুল ইসলাম কাজল। গত ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি।

এর মধ্যে কাজলকে যশোর কারাগার থেকে ঢাকার কারাগারে আনা হয়। মঙ্গলবার শিখরের ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের মুখোমুখি করা হয়। এ সময় কাজলের জামিন আবেদনের শুনানি করেন তার আইনজীবী।

বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বলে এ আদালতের পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান জানান।

যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক কারবারে ‘জড়িত’দের নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গত ৯ মার্চ এই মামলা করেছিলেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। ওই মামলায় আসামির তালিকায় ছিলেন শফিকুল ইসলাম কাজল।

এরপর ১০ ও ১১ মার্চ এই ঘটনায় রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়। তবে এই দুটি মামলায় এখনও কাজলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

মামলা হওয়ার পর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন। পরদিন চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার।

গত ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় তার পরিবার। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।

ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি।

পরদিন অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।