দুর্নীতি দমন কমিশনের জন্য দেড়শ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের ২২ শতাংশ বেশি।
আর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য ১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২২.৬ শতাংশ কম।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলতি অর্থবছরে অনেকগুলো অভিযান পরিচালিত হয়েছে যা সর্বমহলে সমাদৃত হয়েছে। দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসন ভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে।”
বিদায়ী অর্থ বছরের মূল বাজেটে দুদকের জন্য ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমে ১২৩ কোটি টাকা হয়।
২০১৯-২০ আর্থবছরের মূল বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে ২২১৯ কোটি টাকা হয়েছিল।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সামনে সারা দেশে পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে বলে আগামী অর্থবছরে পরিচালন খাতে বরাদ্দ ৫৭৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৯৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। তবে উন্নয়ন বরাদ্দ সংশোধিত বাজেটের ১৬৪৬ কোটি টাকা থেকে কমে ৬২২ কোটি টাকা হচ্ছে।