বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি ঈদ জামাত, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

প্রতিবছরের মত এবারও রোজার ঈদে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত হবে, তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2020, 01:56 PM
Updated : 22 May 2020, 01:56 PM

শনিবার বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে রোববার ঈদ উদযাপিত হবে, আর দেখা না গেলে ঈদ হবে সোমবার।

শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের সকালে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়। তাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়; ইমামের দায়িত্ব পলন করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী।

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক ইমামতি করবেন।

চতুর্থ জামাতে সকাল ১০টায় ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম।

সর্বশেষ জামাত হবে সকাল পৌনে ১১টায়; তাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান।

করোনাভাইরাস অতিমাত্রায় সংক্রামক বলে সব ধরনের অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে গত ২৬ মার্চ থেকে। এই সময় সবাইকে বাসায় থাকার, জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।    

মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ওপর দেওয়া কড়াকড়ি সম্প্রতি তুলে নেওয়া হলেও এবার রোজার ঈদের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার বদলে বাড়ির কাছে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বলেছে সরকার।

ফলে এবার রোজার ঈদের প্রধান জামাত আর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে হচ্ছে না। মসজিদের নামাজ ও ঈদ জামাতের ক্ষেত্রেও সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

শর্তগুলো

>> ঈদ জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সবাই নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে যাবেন।

>> মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সবান-পানি রাখতে হবে।

>> প্রত্যেকে নিজের বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে যাবেন এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।

>> ঈদের জামাতে অংশ নিতে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ বা টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

>> নামাজের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে; এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে

>> শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।

>> সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

>> সংক্রমণ রোধে ঈদের জামায়াত শেষে সবাইকে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো পরিহার করার অনুরোধ করা হচ্ছে।

>> করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে খতিব ও ইমামদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

>> খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।