টেলিমেডিসিনই এখন মানুষের ভরসা

করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে জীবনযাত্রা বদলে যাওয়ার বড় প্রভাব পড়েছে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায়; চিকিৎসা সেবা পেতে ঘরে আটকে থাকা মানুষের জন্য একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2020, 12:42 PM
Updated : 20 April 2020, 03:08 PM
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণের আশংকায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া কমেছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী না পাওয়ার কারণে অনেক চিকিৎসকও সরাসরি রোগী দেখা থামিয়ে দেন, বন্ধ হতে থাকে অনেক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।

২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির আওতায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে রোগীদের ভিড় একেবারেই কমে যায়।

সব মিলে বিকল্প হিসেবে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে টেলিফোনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও টেলিমেডিসিন সেবায় যুক্ত হয়েছে।

গত ১৭ মার্চ থেকে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের ১০০ জনের বেশি চিকিৎসক টেলিমেডিসি সেবায় যুক্ত হয়েছেন।

সেখানকার গবেষণা সহকারী ডা. মাহবুবুর রহমান রাজিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা আইইডিসিআর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০৬৫৫ নম্বরে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিচ্ছেন।

“এখন আইইডিসিআরের সাথে আমরা সংযুক্ত। তাদের সব ধরণের সহযোগিতা আমরা দিচ্ছি। ননস্টপ হেলপলাইন নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমেও তারা সেবা দিচ্ছেন।”

রাজিব বলেন, শুরুর দিকে ব্যক্তিগত নম্বরগুলোতে দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার কল আসত।

হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রচারের উপর জোর দেন শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তণ এই শিক্ষার্থী।

কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগেও মোবাইল ফোনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফি নিয়েও অনলাইনে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

একটি বেসরকারি অডিট ফার্মে কর্মরত শাফায়েত ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে তার ছয় বছরের সন্তানের ঠাণ্ডা, সর্দি ও জ্বর দেখা দেয়। নিয়মিত চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সরকারি কিছু জায়গায় বার বার ফোন দিয়েও ব্যস্ত পেলাম। এরপর ফেইসবুক থেকে একটি সংগঠনের ফোন নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করলাম। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ট্রিটমেন্টের পর মেয়ে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠল।”

এদিকে সপ্তাহখানেক ধরে হাতের ব্যাথায় ভুগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান গৃহকর্মী আকলিমা। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি। বরং তার শুনে রিসিপশনিস্ট কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু চিকিৎসক না দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাননি তিনি।

আকলিমা বলেন, “হাতের ব্যাথা নিয়া অনেক দিন ভুগছি, পরে যে বাসায় কাজ করি, সেই বাসার আপা একটা নাম্বারে যোগাযোগ করে দিছে, আমারে কথা বলতে দিছে, আমি সবকিছু বলার পর ওষুধ দিছে। সেইটা খায়া একটু ভালা আছি।”

এদিকে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন ও স্বাস্থ্য বাতায়নেও চিকিৎসাপ্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। 

গত ৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, দিনে দুই হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন।

ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, রোগীরা এখন ফোনেই নিরবচ্ছিন্নভাবে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, জরুরি, শিশু ও কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাচ্ছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের হটলাইন নম্বরগুলো ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকছে। যেই সমস্যায় পড়ছেন, সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের কাছ থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। বিষয়ভিত্তিক ডাক্তার কিন্তু আপনি সব জায়গায় পাচ্ছেন না, কিন্তু আমাদের এখানে সেই সেবা পাওয়া যাচ্ছে।

“২০১৪ সাল থেকেই আমাদের টেলিমেডিসিন সেবা চলছে। ২০ থেকে ২৫টি উপজেলার সাথে আমরা সংযুক্ত রয়েছি, তারা আমাদের থেকে অনলাইনে সেবা নিচ্ছেন। কবে কোন ডাক্তার থাকবেন, সেসব তাদের জানা আছে। তারা সেভাবেই যোগাযোগ করেন আমাদের সাথে।”

মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালে প্রচুর কল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শুধু করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নয়, যে কোনো সমস্যায়ই ফোন করছেন রোগীরা, প্রচুর কল আসছে।”

স্বাভাবিক সময়ে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি থাকলেও বর্তমানে ৬০০ এর মত রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানান তিনি। আর বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০০-৪০০ জন, স্বাভাবিক সময়ে যা থাকে ৫ থেকে ৬ হাজার।

এ পরিস্থিতিতে টেলিমেডিসিন সেবার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “লকডাউন যেহেতু আরও দীর্ঘায়িত হবে, তাই এই সেবার পরিধি যত বাড়বে, সাধারণ মানুষ তত উপকৃত হবে। ছোট্ট একটা সমস্যায় সে একটা ফোনের মাধ্যমেই সেবা পাচ্ছে, তাই তার বাইরে বের হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।"

সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালুর ওপর জোর দেন এই চিকিৎসক।

“আমাদের টেলিমেডিসিন সেবাও ভবিষ্যতে চালু থাকবে। আমাদের হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটা তো একটা জেনারেল হাসপাতাল, তাই সব ধরণের সেবা যাতে আমাদের রোগীরা পায়, তাই আমরা এই সেবাটি অব্যাহত রাখব।”

তবে অনেকেই এই ধরনের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে এ বিষয়ে আরও প্রচারণায় জোর দিয়েছেন তিনি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রোগীদের সুবিধার্থে হেল্প লাইন চালু করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ। রোগীরা জরুরি প্রয়োজনে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মোবাইলে কল করে এই চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।

এছাড়াও শনিবার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।

তিনি বলেন, “অনেকেই যারা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন না, তারা ঘরে বসেই এই সেবার মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন।”

যেখান থেকে পাওয়া যাচ্ছে টেলিমেডিসিন সেবা

>> উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোনে সরকারি টেলিমেডিসিন সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পেইজে (https://dghs.gov.bd/index.php/bd/e-health/2013-06-18-09-06-38/433-mobile-phone-health-service)  গিয়ে নির্দিষ্ট জেলা বাছাই করলে মোবাইল নম্বর মিলবে।

>> সরকারি তথ্য সেবা হটলাইন ৩৩৩ ও স্বাস্থ্য বাতায়নের হটলাইন ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করেও ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যাবে।

>> আইইডিসিআরের হটলাইন ০১৯৪৪৩৩৩২২২ নম্বরে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

>> ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হটলাইন ১০৬৫৬ নম্বরটিতেও ২৪ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সেবা পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও মেডিসিন বিভাগের ০১৭৯৭১৭০১৩৯, ০১৭৯৭১৭০৮৬৫;সার্জারি বিভাগের ০১৭৯৭১৭৮৪৩৫; গাইনি বিভাগের ০১৭৯৭১৭১০১৮; শিশু বিভাগের ০১৭৯৭১৭০২৯৪; জরুরি বিভাগের ০১৭৯৭১৭০৩৫৮; কার্ডিওলজি বিভাগের ০১৭৯৭১৭৪৮১৭ ও প্রশাসন বিভাগের ০১৭৯৭১৭১৩৫৬ নম্বরে ফোন করেও টেলিমেডিসিন সেবা মিলছে।

>> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নিচের মোবাইল নম্বরগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে:

০১৪০৬৪২৬৪৩৭, ০১৪০৬৪২৬৪৩৮ (মেডিসিন) , ০১৪০৬৪২৬৪৩৯ (সার্জারি), ০১৪০৬৪২৬৪৪০ (নাক, কান, গলা), ০১৪০৬৪২৬৪৪১ (বক্ষব্যধি), ০১৪০৬৪২৬৪৪২ (অবস অ্যান্ড গাইনি), ০১৯৮৪৫১৯৫২৫ ও ০১৯৫১৮২০৮৪৩ (শিশু বিভাগ)

>> শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হটলাইন নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে যে কেউ চিকিৎসা পরামর্শ ও করণীয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

নম্বরগুলো হলো-০১৮৪২১৭৩৫৫৮ মেডিসিন ও অ্যাডমিশন কক্ষ (২৪ ঘণ্টা), ০১৮৪২১৭৩৫৫২ মেডিসিন (সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা),০১৮৪২১৭৩৫৫৩ সার্জারী (সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা),০১৮৪২১৭৩৫৫৪ গাইনি (সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা), ০১৮৪২১৭৩৫৫৬ শিশু (সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা), ০১৮৪২১৭৩৫৫৭ নাক, কান ও গলা (সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা)

>> রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ০১৮৪৪৬৬৫৩৩৬,০১৮৪৪৬৬৫৩৩৭ ও ০১৮৪৪৬৬৫৫৮৫ নম্বরে ফোন করে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন।

>> বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএ-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত) ০১৩১৩৭২২১৪০, ০১৩১৩৭২২২৪১, ০১৩১৩৭২২১৪২, ০১৩১৩৭২২১৪৩ নম্বরে এবং (রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত) ০১৩১৩৭২২১৪৪, ০১৩১৩৭২২১৪৫, ০১৩১৩৭২২১৪৬ নম্বরে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

>>জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন জেসার সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে কর্মরত ২০০ জন চিকিৎসক হটলাইনে টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছেন।

জেসার চিকিৎসকদের ফোন নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই লিংকে-https://www.facebook.com/sheikh.foyez/posts/10221552988472593

>> নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা ২৪ ঘন্টা মোবাইলের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছেন।

২৪ ঘণ্টা সেবা পেতে-

ডা. রেহানা আক্তার ০১৬৮৭৬১০৪১৩, ডা. নাজির শাহ ০১৩০৩৩১৬০১৮, ডা. নিলয় প্রসাদ ০১৭১৮৪৫২৫৫৮, ডা. মো. আসদুজ্জামান শুভ ০১৩০১৮৮০২৮৩, ডা. মাহবুবুর রহমান ০১৫৩৩৯৮৭৯১৪, ডা. মোহনা খন্দকার ০১৯৫৩৫১৩১০৮, ডা. সাফিয়া ইসলাম ০১৮৮৩৫৮১৮২৯, ডা. আতিয়া রহমান ০১৭৭২৬০৬৪৭০, ডা. প্রিয়াংকা মন্ডল ০১৭১৭০২০১১৮, ডা. শারমিন হক প্রিমা ০১৭৯৫২৩৩৫৪, ডা. সাদমান সাকিব ০১৬৭৫৮৪৩৯৮৭, অলিয়া মাহজাবীন ০১৭৯৬৫৯৭১৯৮, ডা. তানভির রহমান ০১৫১৮৬১৫০৫২, ডা. সাদিয়া আফরিন ০১৫৩৪৩০১৯২৫।

সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সেবা পেতে-

ডা. জারা রহমান ০১৭৫৭৫৪০১৬২, নওরিন জাহান ০১৮৭৩১৪৭৪৯৭, ডা. ফারজানা ইয়াসমিন ০১৯২৯৪২২৩৩১, ডা. রিফাত পারভেজ অমি ০১৮৪১৭১৬১৩১, ডা. নুসরাত নুরী রাইসা ০১৮৫৬৮৭৭৭৪৮, ডা. সুবাশ্রী মনিগ্রাম ০১৪০১২৮৮২০২, ডা. নিগার সুলতানা ০১৯৭২৩৯৭১৯৭, ডা. নাফিসা রহমান ০১৬২৭৫৮৫১০০, রেশমা মুজাফফর ০১৭৯৭২৮৭৪৬৫, ডা. হিমা ০১৬১১১০৮৫৬৬, ডা. মাহবুব আলম ০১৭৫৯৮০০৫০৭, ডা. ফারজানা ০১৫৩৪৯৯১৮৬৫।

>> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ও ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলোজি বিভাগ ০৯৬৬৬৭০৭০৮১ নম্বরে সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর‌্যন্ত টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছে।