সোহরাওয়ার্দীতে দুজনের মৃত্যু, পরীক্ষায় ফল ‘নেগেটিভ’

ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত দুদিনে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, নমুনা পরীক্ষায় তাদের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2020, 06:59 PM
Updated : 2 April 2020, 06:59 PM

বুধবার রাতে মারা যাওয়া ব্যক্তি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান-নিটোরের প্রয়াত এক নার্সের স্বামী।

তিনি নিটোরের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করতেন বলে ওই ভবনের তিনতলার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে  কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

আরেকজনের মৃত্যু হয় মঙ্গলবার রাতে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়ুয়া বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মারা যাওয়া দুজনই পুরুষ, তারা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে ৫৪ বছর বয়সী রোগী মঙ্গলবার ভর্তি হয়ে ওইদিনই রাত ১২টায় মারা যান। নার্সের স্বামী (৫৭) বুধবার বিকাল ৩টায় ভর্তি হয়ে রাত ৮টার দিকে মারা যান।

ডা. উত্তম বলেন, “বুধবার রাতে ৫৭ বছর বয়সী রোগী যখন মারা গেলেন, আমরা তাকে করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেছিলাম। এজন্য আমরা তার মরদেহ রাতে ডিসচার্জ করিনি। তার নমুনা সংগ্রহের বৃহস্পতিবার দুপুরে। শিশু হাসপাতালে তার নমুনা পরীক্ষায় রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে।

“এর আগে মঙ্গলবার রাতে মারা যাওয়া রোগীরও কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।”

পঙ্গু হাসপাতালের পুরনো ভবনের পশ্চিম পাশে চিকিৎসক ও নার্সদের থাকার তিনতলা ডরমিটরি ভবন। এখানে চিকিৎসক ও নার্সদের ৩৫ পরিবারের বাস।

পঙ্গু হাসপাতালের একজন নার্স জানান, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এই হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স ছিলেন। তিনি প্রায় তিন মাস আগে মারা যান।

মৃতের ভাই মাসুদ জানান, তার ভাই এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। গত বুধবার ডরমিটরির ওয়াশরুমে পড়ে যাওয়ার পর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল গনি মোল্লা বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু করোনাসন্দেহ করা হয়েছে এজন্য ওই ভবনের তিনতলার বাসিন্দাদের স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।”

ফল নেগেটিভ আসার কথা শুনেছেন জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, “তার নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলে আমাকে জানিয়েছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক। তারপরও যেহেতু সবাই কিছুটা আশঙ্কায় আছে, এজন্য তাদের আপাতত আংশিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছি।