হজে যেতে এবার তিন প্যাকেজ

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজে যাওয়ার সুযোগ রাখছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2020, 09:15 AM
Updated : 24 Feb 2020, 09:51 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে হজ প্যাকেজের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে হজ করতে চার লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে।

আর নতুন প্যাকেজ-৩ এর মাধ্যমে হজে যেতে খরচ হবে তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা।

আগে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজে যাওয়া যেত।

গতবারের চেয়ে এবার প্যাকেজ-১ এ খরচ বেড়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। আর প্যাকেজ-২ এ খরচ বেড়েছে ১৬ হাজার টাকা।

এই তিনটি প্যাকেজ অনুসরণ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়ও হজ এজেন্সিগুলোকে যাত্রী পরিবহন করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দূরত্বের উপর ভিত্তি করে এসব প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই হজ হতে পারে।

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।

এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, হজযাত্রীদের থাকা, খাওয়া, বিমানভাড়াসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ ধরেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্যাকেজ-১ এর যাত্রীরা মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটারের মধ্যে, প্যাকেজ-২ এর যাত্রীরা দেড় হাজার মিটারের মধ্যে এবং প্যাকেজ-৩ এর যাত্রীরা মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে দেড় হাজার মিটারের বেশি দূরত্বে অবস্থান করবেন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ যাত্রীদের জন্য তিন লাখ ৫৭ হাজার টাকার প্যাকেজ রাখা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ তিনটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হজ এজেন্সিগুলো একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।

“বিমানের টিকেট বাবদ নেওয়া অর্থ হজ এজেন্সি ব্যাংক থেকে উঠাতে পারবে না। হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী সরাসরি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সকে পরিশোধ করতে হবে এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন বাবদ নেওয়া অর্থ আইবিএএন (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর) এর মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানো ছাড়া এজেন্সি তা উত্তোলন করতে পারবে না।”

এবার শতভাগ হজযাত্রীর সৌদির আরবের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

“প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। প্রতি ৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন করে গাইড রাখতে হবে।”

কোরবানির অর্থ ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে সৌদি সরকার পরামর্শ দিয়েছে। এজন্য প্যাকেজ মূল্যের অতিরিক্ত ৫২৫ সৌদি রিয়ালের সমপরিমাণ অর্থাৎ ১২ হাজার ৭৫ টাকা সঙ্গে নিতে হবে।

“বিমান বাংলাদেশ এবং সৌদিয়ার পাশাপাশি নাস এয়ালাইন্সের মাধ্যমে এবার হজযাত্রী পরিবহন করা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিমান ভাড়া এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। গতবার একটা বিশেষ ছাড়ে ১০ হাজার টাকা কমানো হয়েছিল।”

এবার সবগুলো হজ ফ্লাইট ডেডিকেটেড করতে আলোচনা চলছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।