পরমাণু শক্তি কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত এই বিজ্ঞানীর নিজের লেখা ‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ বইটি নিয়ে এবার বইমেলায় ঘোরার খবর সোশাল মিডিয়ায় আলোচনায় উঠে আসার পর অনেকের নজরে আসেন তিনি।
তা দেখে ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বইটি পুনঃমুদ্রণের উদ্যোগ নেন।
তিনি গত সোমবার রাতে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বাংলাপ্রকাশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শরীফুল আলমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ফয়জুর রহমানকে।
আলোচনা শেষে শরীফুল আলম ‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ বইটি পুনঃপ্রকাশ করতে সম্মত হন।
মঙ্গলবার রাতে ফয়জুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পরমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘বাঙালির জয়,বাঙালির ব্যর্থতা’ বইটি এবারের বইমেলায় পুনঃমুদ্রণ করবে বাংলাপ্রকাশ।
তিনি বলেন, “২০ বছর আগে প্রথম প্রকাশের পর বইটি নিয়ে আর কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি। কেউ প্রকাশ না করলেও ফটোকপি করে বইটি নিজেই পাঠকের হাতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি।”
বাংলাপ্রকাশের কর্ণধার এম শরীফুল আলমও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চেইনশপ স্বপ্ন জানিয়েছে, দেশব্যাপী তাদের সবগুলো আউটলেটে এখন পাওয়া যাবে ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকীর ‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ বইটি।
স্বপ্নের হেড অব বিজনেস মাহাদি ফয়সাল জানান, সোমবার তিনি ড. ফয়জুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে তার বইটি স্বপ্নের প্রিমিয়াম আউটলেটগুলোতে বিক্রি করার কথা বলেন।
“আমি বইটি পুনঃমুদ্রণ করতে কজন প্রকাশকের সঙ্গে দেখা করি। তাদের একজন আশ্বাস দিয়েও পরে সরে যান। এবার আমি বইটি নিয়ে প্রকাশকদের কাছে যেতে শুরু করলাম।”
পুঁথিনিলয় বইটি পুনঃপ্রকাশের যে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, তা নাকচ করে দিয়ে ফয়জুর বলেন, “পুঁথিনিলয় আমার অনুমতি না নিয়েই প্রচার করছে যে তারা আমার বই পুনঃমুদ্রণ করবে।”
পরমাণু গবেষণা নিয়ে বেশ কটি বই প্রকাশ করেছেন ড. ফয়জুর। এবার তিনি অনুবাদকর্মে মনোনিবেশ করতে চান।
তিনি বলেন, “অনেকগুলো বিষয় আছে, যা এর আগে কেউ অনুবাদ করেনি, অথচ পাঠকের সেসব জানার দরকার ছিল। আমি এবার সেসব বইয়ের অনুবাদ করতে চাই।”
এছাড়াও ‘বাদুর ও চামচিকা’ নামে নতুন একটি বই লিখছেন বলে জানান তিনি।
১৯৩৪ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার চরমধুচারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন তিনি।
কর্মজীবনে তিনি আণবিক শক্তি কমিশনে পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সহকর্মী ছিলেন।