এবছর ১৫ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে ভারত

চলতি বছর ১৫ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে ভারত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2019, 09:19 AM
Updated : 31 Dec 2019, 09:19 AM

১৫ লাখের মাইলফলক উদযাপন করতে মঙ্গলবার তিন মুক্তিযোদ্ধার হাতে ভিসা তুলে দেন ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।

পাঁচ বছর মেয়াদের মাল্টিপল এন্ট্রির ভিসা দিয়ে ১৫ লাখের কোটা পূরণের পর আরও দুই মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয় পরবর্তী দুটি ভিসা।

যমুনা ফিউচার পার্কে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বলেন, যে কোনো দুই দেশের সম্বন্ধের মধ্যে মানুষের সাথে মানুষের সম্বন্ধ, যেটাকে আমরা পিপল টু পিপল ডিপ্লোমেসি বলি, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

”আর আমাদের ভিসা লিবারাইজেশন প্রসেস যেটা, সেটা সহজ হওয়ায় আসা-যাওয়াটা খুব বেড়েছে। এটাকে আমরা খুব স্বাগত জানাচ্ছি।”

হাই কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ও ২০১৭ সালে ১৩ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছিল ভারত।

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এক কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ২৮২ বিদেশি ভারত ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে প্রথম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৭৬ হাজার।

একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৮, যুক্তরাজ্যের ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৮, কানাডার চার লাখ ৭৮ হাজার ২২৮, শ্রীলঙ্কার চার লাখ ৫১ হাজার ৭৩৬, অস্ট্রেলিয়ার চার লাখ ৪৪ হাজার ৩৩, মালয়েশিয়ার চার লাখ ১১ হাজার ৫০, রাশিয়ার তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮৩, চীনের তিন লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৯ ও জার্মানির তিন লাখ ৬০ হাজার ৮৪৩ নাগরিক ভারত ভ্রমণ করেন।

ভারতে বিদেশি পর্যটকের ৬৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এসেছে বাংলাদেশ থেকে। ভারতে ভ্রমণকারী বিদেশি নাগরিকের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষে আসে ২০১৫ সালে। এর আগে ২০১৪ সালে দ্বিতীয় ও ২০১৩, ২০১২ সালে তৃতীয় অবস্থানে ছিল।

যমুনা ফিউচার পার্কের গ্রাউন্ড ফ্লোরসহ বাংলাদেশে ভারতের মোট ১৫টি ভিসা আবেদন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর চালু হয়েছে নয়টি কেন্দ্র।

আবেদন কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি এবং ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় সংখ্যা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন রীভা গাঙ্গুলি।

তিনি বলেন, ”আমরা খুবই খুশি যে, আজকাল আমাদেরকে ভিসা নিয়ে বলতেই হয় না। ভিসা এত সহজে ইস্যু হয়। আমরা চাইব যে, লোকেরা আরও বড় সংখ্যায় ভারতে যাক, আমাদের যাতায়াত বাড়ুক।

“অনেক রকমের রেস্ট্রিকশন আগে যেগুলো ছিল সেগুলো রিমুভ হয়ে গেছে। এখন লোকে সিকিম দেখতে যায় প্রচুর। বরফ দেখতে হলে সিকিমই সবচেয়ে কাছের।”