মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি দল শুক্রবার রাত ৯টায় কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জাহাজ ‘তাজউদ্দিন’-এ তাদের হস্তান্তর করে বলে এই জাহাজের কমান্ডার এসএম মেজবাহ উদ্দিন জানান। এ সময় তাদের ট্রলারটিও ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই জেলেরা হলেন- মো. ফারুক (৪৫), মো. বাবুল (৫৫), মো. সেলিম (৫৭), মো. আবু সৈয়দ (৩৭), মো. কালাম (৫৭), মো. জসিম (৪০), মো. বুলেট (৪৪), মো. মোতাহার (৪৫), মো. কামাল (৫০), মো. জসিম (৫১), মো. নাসিম (৪৭), মো. জহির (৩০), মো. শাহ আলম (৬১), মো. নুর ইসলাম (৪৮), মো. বেলাল (২৭), মো. আল আমিন (২২) ও মো. জাহাঙ্গীর (৪১)।
এদের বাড়ি চট্টগ্রাম, ভোলা, মুন্সীগঞ্জ ও চাদঁপুর জেলায়।
“বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশি ১৭ জেলেসহ ট্রলারটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে মিয়ানমার নৌ বাহিনীর একটি টহল দল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”
এ বিষয়টি জানার পর দুই দেশের সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে যোগাযোগ হলে ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে কোস্টগার্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম জানান।
উদ্ধারকারী জাহাজের কমান্ডার মেজবাহ বলেন, সকালে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জাহাজ তাজউদ্দিন যোগে কোস্টগার্ড সদস্যদের ১০ জনের একটি দল এসব জেলেদের উদ্ধারের জন্য রওনা দেন।
“দুপুর থেকে ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে বুঝে নিতে দুই দেশের জলসীমায় অবস্থান নিই। এরপর রাত ৯টার দিকে মিয়ানমার নৌ বাহিনীর একটি দল এসব জেলেদের আমাদের জাহাজে তুলে দেয়।”
পরে ইঞ্জিন বিকল হওয়া ট্রলারটিসহ উদ্ধার জেলেদের নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হন তারা।
মেজবাহ জানান, রাতে সাগরে চলাচলের অসুবিধা দেখা দিলে জেলেদের সেন্টমার্টিন দ্বীপে নামানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।