সংসদে দুটি বিল পাস

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের স্বার্থ রক্ষা বিল ও বাংলাদেশ  সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট বিল সংসদে  পাস হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2019, 06:19 PM
Updated : 12 Nov 2019, 06:19 PM

‘বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) বিল-২০১৯’ মঙ্গলবার পাসের জন্য উত্থাপন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ  চৌধুরী। বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর বিরোধীদলীয় একাধিক সদস্যের জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি করা হয়।

১৯৮২ সালের অধ্যাদেশকে আইনে এবং বাংলা ভাষায় রূপান্তরের পাশাপাশি যুগোপযোগী করতে এই বিলটি পাস হয়।

এই বিলে সমুদ্রপথে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের অন্তত ৫০ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের মাধ্যমে পরিবহন করতে হবে। ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশে ৪০ শতাংশ পণ্য রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহনের বিধান ছিল।

পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কোনো জাহাজ এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করা যাবে। আগের অধ্যাদেশে জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা ছিল না।

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ নয় এরূপ কোনো বিদেশি জাহাজ দিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করা যাবে না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জাহাজ মালিকরা যেন আরও বেশি বেশি জাহাজ কিনতে বা সংগ্রহ করতে আগ্রহী হন সেজন্য নতুন আইনে সুরক্ষা সুবিধা হিসেবে এ নিয়ম রাখা হয়েছে।”

আখসহ মিষ্টি জাতীয় ফসলের গবেষণা অব্যাহত রাখতে ১৯৯৬ সালের ‘বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন’ বদলে ‘বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৯’ বিল আনা হয়।

এটি উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। এটিও কণ্ঠভোটে পাস হয়। তার আগে বিরোধীদলীয় সদস্যদের একাধিক জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বলা হয়েছে, ইনস্টিটিউট চিনি, গুঁড়, সিরাপের পাশাপাশি মধু উৎপাদনের লক্ষ্যেও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে। আগের আইনে ‘সুগারক্রপের’ সংজ্ঞা নির্ধারিত ছিল না। সুগারক্রপের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, আখ, সুগারবিট, তাল, খেঁজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফসল বা বৃক্ষ এর আওতাভুক্ত হবে।

বিলে বলা হয়েছে, ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় সুগারক্রপ গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সরকারের অনুদোন নিয়ে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য ও কৃতিত্বের সাতে ডিগ্রি অর্জনকারীদের ফোলোশিপ দিতে পারবে এ ইনস্টিটিউট।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সময়ের পরিক্রমায় ইনস্টিটিউটের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির শিরোনাম পরিবর্তনসহ বিদ্যমান আইনটি অধিকতর সংশোধন ও হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।