মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান বুধবার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের হেফাজত চান।
ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ আবেদনের শুনানি নিয়ে পাঁচ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
এসময় আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। শুনানিতে বিচারক জানতে চান, আবরার হত্যায় আসামির কী ধরণের সম্পৃক্ততা ছিল।কিন্তু কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মিজানুরও কোনো কথা বলেননি।
মিজান উত্তর না দিলেও আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই মাঝহারুল ইসলাম বলেন, “মিজান আবরারের রুমমেট ছিল। তার নাম এজাহারে নেই।”
গত ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্যাতনে আবরারের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার চার দিন পর ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিজান বুয়েটের ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার সঙ্গে এই কক্ষেই থাকতেন নিহত আবরার।
গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ১১ অক্টোবর তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন না করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
আবরার হত্যা মামলায় এই পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আটজন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, যাদের সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।