সরকারি চাকরি আইনের সাতটি ধারা বাতিল চেয়ে উকিল নোটিস

সদ্য কার্যকর হওয়া সরকারি চাকরি আইনের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সাতটি ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার করতে স্পিকার ও ছয় সচিবকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2019, 11:09 AM
Updated : 13 Oct 2019, 11:45 AM

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রোববার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিসটি পাঠিয়েছেন।

স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি।

এর মধ্যে এসব ধারা বাতিল বা প্রত্যাহারে পদক্ষেপ না নিলে এগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আইনজীবী মনজিল।

নোটিসে বলা হয়, গত বছরের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ আইনটির গেজেট প্রকাশ করা হয়। আইনটির ৫(২), ২৪(১, ৩), ৩৫, ৩৯(১,২), ৪২(১,২,৪), ৫১(৪) এবং ৫৫ ধারায় সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অধিকারের তারতম্য ঘটিয়ে এবং বিদ্যমান বিভিন্ন আইনের শর্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আরেকটি গেজেট জারি করে ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়।

নোটিসদাতা আইনজীবী বলেন, আইনটির ৫(২) ধারায় সরকারি কর্মচারিদের কাজের শর্তাবলীতে তারতম্য ঘটানো হয়েছে। এছাড়াও ২৪(১) ও ৪২(১, ২) ধারায় আদালত অবমাননা আইনের বিধানের বিপরীত বিধান করে আদালত অবমাননার আইনকে অকার্যকর করা হয়েছে। ৩৯ ধারায় ফৌজদারি মামলার অভিযুক্ত কোনো সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্তের বিষয়ে বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে সরকারের হাতে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

“এছাড়া ৫১(১) ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত বা অসদাচরণে দোষী সরকারি কর্মচারীর অবসর সুবিধা বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে। আর ৩৫ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার বিধান রাখা হয়নি।”

মনজিল বলেন, “এসব ধারা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদসহ বিদ্যমান অনেক আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে করা হয়েছে। ফলে আইনটির এসব বিধান কার‌্যকর হলে সরকারি কর্মচারিরা তাদের অর্জিত অধিকার ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।”

নতুন এই আইনে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের আগে সরকারি কর্মচারীর গ্রেপ্তারে ক্ষেত্রের অনুমতির বিধান রাখায় তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি।