মাদক চোরাচালান বন্ধে মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করবে ভারত-বাংলাদেশ

সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধে নিজেদের মধ্যে ‘তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের’ পাশাপাশি এই কার্যক্রমে মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2019, 05:20 PM
Updated : 10 Oct 2019, 05:20 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুই দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাপরিচালক পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ এবং ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই মাহপরিচালক বলেন, মাদক চোরাচালান বন্ধে যা যা করা প্রয়োজন, সেগুলো করবেন তারা।

ভারতে কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত সিরাপ ফেনসিডিল বাংলাদেশে অবৈধভাবে পাচার হয়ে আসে। ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে যেসব মাদক আসে, সেগুলোর অন্যতম এই সিরাপ।

এছাড়া ইয়াবা, হিরোইন ও গাঁজাও সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে এবং অনেক পাচারকারী মিয়ানমার থেকে এগুলো আনতে ভারতীয় সীমান্ত ব্যবহার করে থাকে।

ভারতীয় মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা বলেন, “আমরা এ বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছি যে, এই সামাজিক ব্যাধি বন্ধ করা উচিত এবং সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালোভাবে নির্মূল করতে হবে।

“বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানের জন্য ভারতের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি। এই ব্যাধি নির্মূলে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নেব।”

বাংলাদেশের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন বলেন, মিয়ানমার দুই দেশেরই প্রতিবেশী হওয়ায় এবং সে দেশ থেকেও মাদক আসায় তাদের এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ও ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব করেছে ভারতীয় পক্ষ।

“আমরা এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছি এবং মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করতে বলেছি। এমনকি আমরা ঢাকায়ও এই বৈঠক আয়োজনে প্রস্তুত আছি।”

মাদক পাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাদক পাচার সংক্রান্ত ‘তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য’ বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি ‘ফোকাল পয়েন্ট’ ঠিক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।