এরা হলেন- শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মনিরুজ্জামান (২১) ও আকাশ হোসেন (২১)।
ঢাকার মহানগর হাকিম তফাজ্জল হোসেন বুধবার তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মঙ্গলবার আলোচিত এ হত্যা মামলার অপর ১০ আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অন্য একজন বিচারক।
বুধবার রিমান্ডে পাঠানো তিনজনের মধ্যে মনিরুজ্জামান বুয়েট ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর যে ১১ জনকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে, তার মধ্যে তিনিও রয়েছেন।
আবরার ছিলেন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত রোববার রাতে শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পিটুনিতে তিনি নিহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আবরারের বাবা যে হত্যামামলা করেছেন, তাতে আসামির তালিকায় আকাশের নাম থাকলেও আরেফিন ও মনিরের নাম নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।
তিন আসামির রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পরিকল্পিতভাবেই নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের হলের ভেতরে ঢুকতে দেননি আসামিরা। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য এই আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
“আবরার ফাহাদ ছিলেন নিরীহ ছাত্র। বিনা অপরাধে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে,” বলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দীন খান।
তিন আসামির মধ্যে দুজনের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
তবে শামসুল আরেফিনের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, শামসুল ছাত্রলীগের কোনো নেতা নন। একজন সাধারণ ছাত্র। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।
ঘটনার দিন রাত ৮টার সময় শামসুল আরেফিন ঢাকার একটি হলে সিনেমা দেখছিলেন বলে দাবি করেন তারা।
আইনজীবী না থাকায় মনির ও আকাশের কাছে বিচারকরা জানতে চান, তারা কোনো কিছু বলতে চান কি না? তখন আকাশ দাবি করেন, তিনিও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আর মনিরুজ্জামান আদালতে কোনো কথা বলেননি।
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক তিন আসামির প্রত্যেককে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।