বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের বেঞ্চ বুধবার তাকে জামিন না দিলেও একটি রুল দিয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার বাবুকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। রাষ্ট্রপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
পদ্মা সেতুতে মানুষের বিশেষ করে শিশুদের কাটা মাথা লাগবে বলে কয়েক মাস আগে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়। এতে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়।
গুজব ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর কঠোর হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বিভিন্ন জেলা থেকে।
নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা গ্রামের বাবুকে (৪০) গত ২৫ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নড়াইল পুলিশ জানায়, বাবু ফেইসবুকে গুজব ছড়াচ্ছিলেন।
এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২), ৩১(২) ও ৩৫ ধারায় নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন।
হাই কোর্টে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আসামি বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের পক্ষে নানা প্রমাণ তুলে ধরে।
আমিন উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিয়াস কুমার সাহার কাছ থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে তা আদালতে উপস্থাপন করেছি।
“সেখানে দেখিয়েছি, আসামি নাজমুল হোসেন তার মোবাইলের ফেইসবুক মেসেঞ্জার থেকে আটজনকে এই মেসেজটি পাঠিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “যেহেতু সারা দেশে এই গুজব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, অনেক দুর্ঘটনা-অপরাধের জন্ম দিয়েছে এবং বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই তার জামিনে আপত্তি জানিয়েছি। আদালত জামিন না দিয়ে জামিন প্রশ্নে চার সপ্তাহের রুল দিয়েছেন।”
আসামির আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গুজবের এই মেসেজটি সে (বাবু) কাউকে পাঠিয়েছে, তা এজাহারে উল্লেখ নেই। সে শুধু তার ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছে। আতঙ্ক ছড়ানোর এই পোস্ট সে দেয়নি, এই পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল সতর্কতামূলক।
“তাই আমরা জামিন চেয়েছিলাম। আদালত বললেন, রুল শুনে জামিন দেবেন।”
গত ১৯ আগস্ট বাবু জামিন চেয়ে নড়াইলের আদালতে আবেদন করেছিলেন। তা নাকচ হলে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন।