অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বুধবার ‘কাস্টমস বিল-২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে তা ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৬৯ সালে প্রণীত ইংরেজি কাস্টমস আইনের সংস্কারে ২০১৪ সালে খসড়া নিয়ে কাজ শুরু করে সরকার।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ব্যবস্থা্পনা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বহুমখী সংস্কার ও আধুনিকায়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কাস্টমস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অন্তর্ভুক্ত করে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত বিদ্যমান আইনের পরিবর্তে বাংলায় একটি আধুনিক কাস্টমস আইন প্রণয়ন করার প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিনের।”
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, বিলটি আইনে কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৬৯ সালের কাস্টমস অ্যাক্ট বাতিল হয়ে যাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে সরকার এ আইনের জন্য বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।
শুল্ক ফাঁকি বা আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো ব্যক্তি কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে এ আইনের অধীনে রাজস্ব বোর্ড তাকে পুরস্কার দিতে পারবে।