‘জ্বিন ছাড়ানোর ঝাড়ফুঁকের’ নামে নারীদের ধর্ষণ করতেন ইমাম

নারী ও শিশু ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখানের মাদ্রাসার শিক্ষক এক মসজিদের ইমামকে আটক করেছে র‌্যাব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2019, 11:17 AM
Updated : 25 July 2019, 12:50 PM

গ্রেপ্তার ইদ্রিস আহম্মেদ (৪২) সিলেটের বিমানবন্দর থানার শিমুলকান্দি গ্রামের জোয়াদ আলীর ছেলে। তার কর্মস্থল মাদ্রাসা ও মসজিদের পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি র‌্যাব।

রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাবের একটি দল দক্ষিণখানের সৈয়দনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করে বলে র‌্যাব ১ এর অধিনায়ক সারওয়ার বিন কাশেম জানিয়েছেন।

সোমবার কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। ফোনে ‘ধর্ষণ ও বলাৎকারের’ অনেক ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে।

“১৮ বছর ধরে দক্ষিণখানের স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি পাশের মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন ইদ্রিস। জ্বিনের ভয় দেখিয়ে বিধবা ও প্রবাসীদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করতেন এই ধর্ষক। মাদ্রাসায় পড়তে আসা ১০ থেকে ১২ বছরের অন্তত ১২ জন শিশুকে সে বলাৎকার করে।”

তিনি জানান, এই ইমাম মসজিদের একটি বিশেষ কক্ষে ঘুমাতেন। সেখানেই তিনি ধর্ষণসহ সব অপকর্ম করতেন। সেগুলো খাদেমদের দিয়ে ভিডিওধারণ করতেন। সম্প্রতি এক নারীর অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে এসব তথ্য বের হয়ে আসে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

সারওয়ার বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে ছিল। এসময় তিনি ঝাড়ফুঁকের নামে ও জ্বিনের ভয় দেখিয়ে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেছেন।

“এছাড়াও অদ্যাবধি সে তার একাধিক ছাত্রকে ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক বলাৎকার করে আসছে। গ্রেপ্তার হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্বেও এক কিশোরকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেছে এবং তার ভিডিওধারণ করেছে।”

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, সিলেটের একটি মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৮ সালে কামিল পাস করার পর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের একটি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন ইদ্রিস। ২০০২ সালে ঢাকায় এসে দক্ষিণখানের এই মসজিদ ও মাদ্রাসায় কাজ নেন।