বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এ ঘটনায় এর কয়েক ঘণ্টা আগে গ্রেপ্তার তিন জনসহ এই চারজনকে সোমবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েকদিনে কয়েকটি পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তসলিমাকে (৪২) পিটিয়ে মারা হয়। এঘটনায় করা হত্যা মামলায় রোববার সন্ধ্যার পর জাফর, বাপ্পী ও শাহীন নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, তসলিমা বেগম রেনুকে পেটানোর ঘটনায় মূল আসামি হিসেবে হৃদয় নামে একজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এরমধ্যে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যেই শনিবার লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা তসলিমাকে পিটিয়ে মারা হয়।
এ ঘটনায় তার বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন টিটো বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।