বুধবার দুপুরে ধসে পড়া ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালিয়ে রাত ৮টার দিকে জাহিদুল ব্যাপারী (৬০) নামে একজনের লাশ পাওয়া যায়।
এর প্রায় চার ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে জাহিদুলের ছেলে শফিকুল ব্যাপারীর (১৮) লাশও ধ্বংসস্তূপের নিচে পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সদরঘাটের কাছে সুমনা হাসপাতালের পাশের ছয় নম্বর লেইনের শত বছর পুরনো ওই দোতলা ভবনটি এক রকম পরিত্যক্তই ছিল।
তবে ফুটপাতের ফলের কয়েকজন হকার সেখানে থাকতেন বলে স্থানীয়রা জানান।
দুপুর দেড়টার দিকে ভবনটি ধসে পড়ার পর পুলিশ সেখানে যায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি শাহেদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তখন বলেছিলেন, “আমরা শুনেছি সেখানে কয়েকজন আটকা পড়েছে। তবে তা কতটুকু সত্য, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফায়ার ব্রিগেড কাজ করছে।”
ফায়ার ব্রিগেডের জ্যেষ্ঠ স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দোতলা ভবনের পুরোটাই ধসে পড়ে।
“দুজন ভেতরে আটকা পড়েছেন, এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি। দেখা যাক কী হয়।”
এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নানা সরঞ্জাম নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
রাত ৮টার দিকে ধ্বংসস্তূপের নিচে জাহিদুলের লাশ পাওয়ার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন
তিনি তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাহিদুলের ছেলে শফিকুল ব্যাপারী ভেতরে আছেন বলে স্বজনরা বলছেন। সে কারণে আমরা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছি।”
রাত ১২টায় শফিকুলের লাশও ধ্বংসস্তূপের নিচে পাওয়ার কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লাশ শনাক্ত হয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বের করতে সময় লাগবে।”
ধসে পড়া ভবনটির মালিকানা সরকারের কোনো সংস্থার বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি শাহেদুর। তবে কোন কর্তৃপক্ষের সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।